চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান কেন স্বর্ণ সাজে মহাকাশে!

চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান কেন স্বর্ণ সাজে মহাকাশে!
HIGHLIGHTS

আসল সোনয় সজ্জিত নয় এই স্বর্ণ সাজ

এক দিকে আছে পলিমাইড

আর অন্য দিকে আছে অ্যালুমিনিয়াম

বাজারে সোনার দাম আকাশ ছুই আর এর মধ্যে সত্যি মহাকাশে যাচ্ছে পৃথিবীর সোনা! ভাবছেন এ আবার কি? আর আমরাই বা কেন এই নিয়ে আপনাদের জানাচ্ছি?এর আগে আপনাদের মনে করিয়ে দি যে আর মাত্র এক দিনের অপেক্ষা তার পরেই পৃথিবীর আকর্ষণ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে চন্দ্রযান ২। আর এই সোনা কাহিনী ও সেই চন্দ্রযান কে ঘিরেই।

আসলে এই যে চন্দ্রযান জগত সংসারের মাটি থেকে মহাবিশ্বের আবহে পৌঁছেছে তা স্বর্ণ ময়। ভাবছেন কেন? সেই উত্তরই আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি। চন্দ্রযান ২ য়ের আগ্যে আর তার ভেতরে থাকা ‘বিক্রম’ এর গায়েও সোনায় মোড়া। আর বিক্রমের ভেতরে যে রোভার ‘প্রজ্ঞান’ তাতেও আছে সোনা। বিক্রম নামার অল্প সময়ের মধ্যেই সে যাবে চাঁদের মাটিতে। খুজতে অনেক কিছু।

তবে এখানে মজার এই যে এই সোনা কিন্তু একেবারে খাঁটি সোনা নয়। ইসরোর সুত্রানুসারে খাঁটি সোনা যেমন গায়ে দেওয়া জায়না তেমনি চন্দ্রযান ২ য়েও যা আছে তা সোনা নয় আবার যা আছে তা ‘সোনার জল’ ও নয়। তবে কি এই স্বর্ণ সম্ভার!

জানা গেছে যে এই সোনা আসলে ‘পলিমাইড’ ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি মিশ্র ধাতুর সংকর ধাতু। আর এর সামনের দিকে আছে পলিমাইড আর পেছনের দিকে আছে অ্যালুমিনিয়াম। কিন্তু সোনার সাজে কেন চন্দ্রযান ২ এ করে পারি দিল ‘প্রজ্ঞান’ও ‘বিক্রম’? জানা গেছে যে এই সোনার সাজে না থাকলে এরা চন্দ্র মুলিকে বেশিদিন থাকতে পারত না ।

আসলে মহাকাশে গেলে সব মহাকাশ যান কেই দুরকমের ধকল সইতে হয়। তাদের গায়ে পরে সূর্যের জোরালো আর ক্ষতিকর বিকিরন আর নয়ত কসমিক রের দাপট। আর এগুলি আসে অসম্ভব জোরে আর তাই সেই সময়ে মহাকাশ যান গরম হয়ে যায় আর তার মধ্যে থাকা যন্ত্রওও হয়ে  ওঠে গরম। আর এই উষ্ণ তাপমাত্রায় কাজ করতে পারেনা সেই যন্ত্র।

আর যে দিকে সূর্যের আলো নেই সেই দিকে উষ্ণতা না থাকাই যন্ত্র সচল থাকার জন্য সমস্যার হয়ে পরে। কারন সেদিকে থাকে হার হিম করা ঠান্ডা। আর মহাকাশে স্বর্ণ সাজ এই দুই সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। পলিমাইডের দিকে আসা সূর্য রশ্মি বা বিকিরনের বেশিরভাগই প্রতিফলিত হ্যে ফিরে যায়। আর কারন এর মধ্যে দিয়ে বিকিরন গলে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনা। আর স্বর্ণসাজ বাচিয়ে দেয় সূর্য বিকিরন থেকে। আর ঠান্ডা দিকেও এই সাজ কাজে লাগে শক্তিতে পরিনত করতে। আর এর জন্য এই ভাবে ঠান্ডা গরম মেপে আসলে যন্ত্রে তাপমাত্রা সঠিক রাখা সম্ভব হয়।

আর এর সঙ্গে এও জানা গেছে যে নাসাও মহাকশচারীদের হেলমেটে আসল সোনার ব্যাবহার করেছে এই একই কারনে। আর  ভারতের মঙ্গল যান আর চন্দ্রযান ১ দুই গেছিল স্বর্ণ সাজে।

Aparajita Maitra
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo