অনলাইন টাকা লেনদেন করেন? অনলাইন স্ক্যাম থেকে বাঁচতে মাথায় রাখবেন এই 10 কথা

অনলাইন টাকা লেনদেন করেন? অনলাইন স্ক্যাম থেকে বাঁচতে মাথায় রাখবেন এই 10 কথা
HIGHLIGHTS

অনলাইন ব্যাঙ্কিং বা নেটব্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতারনার শিকার হয়েছে বেশ কিছু ইউজার

অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের বোকা বানিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার করে নিচ্ছে হ্যাকারেরা

ইউজারদের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণেই ঘটছে এমন ঘটনা

আজকালের স্মার্ট ইউজারদের ব্যাঙ্কিং পদ্ধতিকে আরও বেশি সহজ করে তোলে অনলাইন ব্যাঙ্কিং (Online Banking) বা নেটব্যাঙ্কিং ( Net Banking)। তবে এমনো কিছু ইউজার রয়েছে যার এই নেটব্যাঙ্কিং প্রসেসরের ফলে পড়েছে হ্যাকারদের কবলে। ব্যবহারকারী কম সতর্ক থাকার ফলে চোখের নিমেষে তার ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড, পিন এমনকি এটিএম ডিটেলসের মতো ইনফরমেশন চলে গেছে হ্যাকারদের ফলে। যার সুযোগ নিয়ে ইউজারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তার অজান্তেই চুরি হয়ে গেছে টাকা।

নেটব্যাঙ্কিং বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং (Internet Banking) পদ্ধতির ব্যবহার গত দুই বছর ধরে বেশ ভালোভাবে হচ্ছে। ইউজারদের নেট ব্যাঙ্কিং প্রসেসকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব বা ঠিক ভাবে অনলাইন ব্যাঙ্কিং প্রসেস না ব্যবহারের বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে হ্যাকারেরা।

অনলাইন বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের ফলে টাকা চুরির যে সমস্ত রিপোর্ট কিছুদিন আগে সামনে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে যে অনেক সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইউজারেরা লেন্ডারের সাথে ইমেলের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফারের বিষয়ে আলোচনা করতেন। কোনোভাবে সাইবার ক্রিমিনালেরা (Hacker) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইউজারের মেইল হ্যাক করে নিয়ে আসল লেন্ডারের বদলে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাঠায়। যার ফলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইউজার নিজের অজান্তেই লেন্ডারের বদলে সাইবার হ্যাকারের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রা্ন্সফার করে ফেলে।

ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার বা অনলাইন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে রিপোর্ট করলে টাকা ফেরত পাবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবার ফলে ইউজারেরা এতটাই ভয় পেয়ে যান যে কি করা উচিত, তা মাথায় থাকে না।

তবে এই ধরণের ঘটনার শিকার যদি আপনি না হতে চান, তবে মনে রাখতে হবে কতগুলো ছোট্ট বিষয়-

  • যে সংস্থার সাথে আপনি ডিল করছেন তা র সম্পর্কে সবার আগে ভেরিফাই করে নেবেন। ভেরিফিকেশনের জন্য Google- র সাহায্যও নিতে পারেন।
  • আপনাকে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে বলা হচ্ছে তা আগে চেক করে নেবেন, ব্যাঙ্কের IFSC কোড , অ্যাকাউন্ট নাম্বার কোন ডিজিট থেকে শুরু হচ্ছে তা ভালো করে দেখে নেবেন।
  • অল্প কোনো সন্দেহ হলেই টাকা ট্রান্সফার করবেন না।
  • ডিটেলস ভেরিফিকেশনের জন্য সংস্থার অফিসিয়াল কল সেন্টারে ফোন করতে পারেন।
  • দরকারে অফিসিয়াল ব্রাঞ্চেও ভিজিট করা যেতে পারে।
  • কারোর ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে টাকা ট্রান্সফার করবেন না।
  • দেখে নেবেন যে সংস্থার টুইটার অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড কিনা।
  • সমস্ত ট্র্যানজ্যাকশনের স্ক্রিনশট নিতে ভুলবেন না।
  • কোনো কারণে যদি ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে থাকেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাঙ্কে রিপোর্ট করবেন।
  • সংস্থার ওয়েবসাইটের URL শুরু হচ্ছে “https” দিয়ে কিনা তা দেখে নেবেন।

বেশিরভাগ সময়েই ইউজারেরা অনলাইন ব্যাঙ্কিং বা নেটব্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতারনার শিকার হচ্ছেন কেননা হ্যাকারেরা নিজেদের ব্যাঙ্কের এক্সিকিউটিভ পরিচয় দিচ্ছেন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছে। যার ফলে ইউজারেরা হ্যাকারদের বলা প্রসেসকে বিশ্বাস করে তাদের অ্যাকাউন্টেই টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে। এই ধরণের ঘটনার আসল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারেরা কোনো ডিটেলস ভেরিফাই করছেন না।

Digit.in
Logo
Digit.in
Logo