স্মার্টফোন ডিসপ্লের সাত কাহন

স্মার্টফোন ডিসপ্লের সাত কাহন
HIGHLIGHTS

ফোনের রেজিলিউশান

ফোন ডিসপ্লে কি

এখন আমরা স্মার্টফোন কেনার সময়ে সেই স্মার্টফোনের যে সব বিষয় গুলি দেখি তার মধ্যে দরকারি ও সব সময়ে কাজ আসা জিনিস হল ডিপ্লে। স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতেই আমরা আমাদের পছন্দের সিনেমা বা ভিডিও দেখে থাকি। আবার নিজের আর পরিবারের ছবি তুল্লেও তা আমরা প্রথমে নিজেদের ফোনের ডিসপ্লেতেই দেখে থাকি।

আমরা জানি যে ফোনের ডিসপ্লের এখন একাধিক প্রকার আছে কোন ডিসপ্লে AMOLED কোনটি সুপার AMOLED কোনটি বা HD আবার কোনটি FHD। শুধুই যে এই সব বিষয় তা নয় এর সঙ্গে আছে ফোনের ডিসপ্লে রেজিলিউশান বা তার অ্যাস্পেক্ট রেশিও ইত্যাদির প্রকার ভেদ।

আজকে আমরা এখানে এই আর্টিকেলে এই বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে আদতে কি আর এদের পার্থক্য কি সেই সব কিছু একবার দেখার আর বোঝার চেষ্টা করব।

রেজিলিউশান

প্রথমে আমরা দেখে নি যে ফোনের ডিসপ্লে রেজিলিউশান আদতে কি। আমরা সাধারনত স্মার্টফোনের স্ক্রিন রেজিলিউশানের ক্ষেত্রে আসলে স্ক্রিন সাইজ (ইঞ্চি) আর পিক্সাল নাম্বার( এটি কত ইনফরমেশান দেখাতে পারে) আর কত ডেন্সিটিতে পিক্সাল পিক করে যা পিক্সাল পার ইঞ্চ (ppi) নামে পরিচিত।

আপনি যদি ডিসপ্লে সাইজ জানেন আর আপনি তবে কত পিক্সাল স্কটি স্কোয়ার ইঞ্চিতে স্কুইজ করা যায় তা দেখবেন তাই হল ppi ফিগার, আর যা পিক্সাল ডেন্সিটি হিসাবে পরিচিত। আপনারা আপনাদের ফোনের ppi পিক্সাল ডেন্সিটি ক্যালকুলেটারের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন।

ফোনের HD রেজিলিউশান হায়ার। আর এই সময়ের বেশির ভাগ স্মার্টফোনেই তা থাকে। আর আপনাদের এক্ষেত্রে নিটস এর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে যা ডিসপ্লের ব্রাইটনেস রেট করে।

HD

HD মানে হল হায়ার ডেফিনেশান। সহজ কথায় HD মানে পিক্সাল মেজারমেন্ট 1280 x 720 পিক্সাল। তা সে স্ক্রিন কত বড় হোক না কেন পিক্সাল মেজারমেন্ট বলে এই হল HD।

আর আপনাদের এও বলে রাখি যে ছোট HD স্ক্রিন হায়ার পিক্সাল ডেন্সিটি আর থেরোনোকালি ভাল ছবি দেয়। মানে সহজে বলতে গেলে বলতে হয় যে HD ডিসপ্লে থাকার মানে বিশাল কিছু নয়, এটি 5 ইঞ্চির স্ক্রিন আর 10 ইঞ্চির স্ক্রিনে বিশাল কিছু পার্থক্য দেবে।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যাক যে একটি 4.3 ইঞ্চির স্ক্রিনের পিক্সাল ডেন্সিটি 342ppi । আর একটি 4.7 ইঞ্চির স্ক্রিনের পিক্সাল ডেন্সিটি 312ppi তবে দুটি ডিসপ্লেই HD ডিসপ্লে। অ্যাপেল অনুসারে 300ppi সুইট স্পট কারন এটি সেই পয়েন্ট যেখানে মানুষের চোখ ইন্ডিভিজুয়াল পিক্সাল ক্রিয়েশান ডিস্টেন্স (ক্রিয়েশান সাইজ স্ক্রিন)।

ফুল HD

ফুল HD এর পরের ডিসপ্লে বিষয়ে বলা যায়। এখানে 2K (QHD) গেমিং ট্রানশাকশান আর হাই এন্ড ডিভাইস আছে যা QHD স্ক্রিন অফার করে।

ফুল HD মেজার 1920 x 1080 পিক্সাল। আর এর সঙ্গে এই পিক্সাল ডেনসিটি সব মিলিয়ে স্ক্রিন কত বড় তার ওপরে নির্ভর করে। 5 ইঞ্চির স্মার্ট ফোনের ডেন্সিটি 440 ppi আর 5.5 ইঞ্চির স্ক্রিনের ppi 400 ।

অ্যাস্পেক্ট রেশিও

এবার যদি আমরা অ্যাস্পেক্ট রেশিওর বিষয়ে কথা বলি তবে এটি আসলে ফোনের ডিসপ্লের মোট লম্বা আর চওড়া বিশ্যেবলা হয়। এর আগে 16:9 অ্যাস্পকেট রেশুইর ফোন ছিল আর তা ধিরে ধিরে 18:9 থেকে 19:9 ও এখন এর থেকে বেশি অ্যাস্পেক্ট রেশিওর ফোন আসাও শুরু হয়ে গেছে।

প্যানেল টাইপ

এই সময়ে একাধিক প্যানেল টাইপের ফোন পাওয়া যায় আর সেই বিষয়ে আমরা এর আগেই আপনাদের ওপরে বলেছি। এখন যে সব ধরনের প্যানেলের ফোন পাওয়া যায় তা হল  LCD, OLED, AMOLED, Super AMOLED, TFT, IPS ও আর কিছু টাইপ।

আর এই সময়ের মিড রেঞ্জ আর হাই রেঞ্জ ফোনে IPS-LCD প্যানেল পাওয়া যায়। তবে এদের মানে কি?

LCD

এর মানে লুকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে আর এই LCD সূর্যের আলোতে ভাল ভাবে ব্যাবহার করা যায়।

আর আপনারা এখন স্মার্টফলনে TFT আর IPS দুই ধরনের ডিসপ্লেই পাবেন।

AMOLED

AMOLED মানে অ্যাক্টিভ ম্যাট্রিক্স অরগানিক লাইট এমিটিং ডিওড। এটি শুনতে যা আদতে কিন্তু তা নয়। OLED হল একটি থিন ফিল্ক ডিসপ্লে প্রযুক্তি।

আর এর মানে এই যে OLED ডিসপ্লে বেশি ব্ল্যাক আর কম এনার্জি কঞ্জিউম করে।

 

এর পরে আমরা অন্য কোন আর্টিকেলে আপনাদের স্মার্টফোনের ডিসপ্লের বিভিন্ন প্যানেল বিষয়ে আরও ডিটেলসে বলার চেষ্টা করব।  

Aparajita Maitra
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo