অফিস কালচারে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ফাইলিং করার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার হল মাইক্রোসফট এক্সেল। এই স্প্রেডশিট টুলের যেমন ওয়েব ভার্সনও রয়েছে, তেমন রয়েছে মোবাইলে ব্যাবহার করার জন্য অ্যাপও। ইউজারেরা মাইক্রোসফট এক্সেলকে এক্কেবারে ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারেন না। তবে আপনি কি জানেন এমএস এক্সেল ছাড়াও রয়েছে আরও কিছু স্প্রেডশিট সফটওয়্যার যা ইউজারদের বিনামুল্যে ব্যবহারের অ্যাক্সেস দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি-
আজকাল Google Sheets নামটি আমাদের সকলের কাছে বেশ পরিচিত। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন কেবল ইন্টারনেট কানেকশন ও ইউজারের গুগল অ্যাকাউন্ট। কেবল গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করলেই ইউজার পাবেন এই সফটওয়্যারের অ্যাক্সেস। মিলবে মাইক্রোসফট এক্সেলের মতনই স্প্রেডশিট তৈরির সমস্ত সুবিধা। প্রসঙ্গত এই সফটওয়্যারের অ্যাপ ভার্সন আপনি প্লে-স্টোর থেকে নামিয়ে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই স্প্রেডশিট টুল কাজ করবে ইন্টারনেটের সাহায্যে। তবে এই অনলাইন ভার্সনে সমস্ত ফিচার না থাকলেও স্প্রেডশিটের বেসিক কাজকর্ম নির্দ্বিধায় করা যাবে।
এই ক্লাউডনির্ভর অনলাইন সফটওয়্যারে করা যায় স্প্রেডশিটের সমস্ত কাজ। এতে মিলবে 350 টিরও বেশি স্প্রেডশিট ফাংশান। ওপেন করা যাবে XLSX, XLSM এর মতো সমস্ত ফাইল। প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে এই সফটওয়্যারের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ভার্সন।
ক্যাল্ক স্প্রেডশিটকে ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এই টুলকে আগে থেকেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ইন্সটল করে রাখতে হবে।স্প্রেডশিটের সমস্ত ফিচারের অ্যাক্সেসই অফলাইনে পাওয়া যাবে এই টুলের মাধ্যমে।
লিও (Lio) একটি স্প্রেডশিট অ্যাপ যা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনে ব্যবহার করা যায়। প্লে-স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে খুব সহজেই ডাউনলোড করে নেওয়া যেতে পারে এই স্প্রেডশিট অ্যাপ। এই অ্যাপে পাওয়া যাবে 10 টি ভাষাতে 60টি টেমপ্লেট ফাংশান অ্যাক্সেসের সুযোগ। এছাড়া বিভিন্ন ইমেজ, ফর্মুলা, ডেট এবং লোকেশন নিয়েও কাজ করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।