কোভিডের সময় ডাক্টররা কোন থার্মোমিটার ব্যবহার করতে বলছেন? জেনে নিন

HIGHLIGHTS

এখনকার মার্কেটে অনেকরকম থার্মোমিটার পাওয়া যায়, যেমন- ডিজিটাল থার্মোমিটার, লেজার থার্মোমিটার, Tympanic থার্মোমিটার ইত্যাদি

একজন সুস্থ মানুষের শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি F অথবা 37 ডিগ্রি C

Tympanic থার্মোমিটারটি শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে কানের ভিতর থেকে তাপমাত্রা নেয়

কোভিডের সময় ডাক্টররা কোন থার্মোমিটার ব্যবহার করতে বলছেন? জেনে নিন

শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য মানুষ বছরের পর বছর ধরে থার্মোমিটার ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে কোভিড আসার পর এই থার্মোমিটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে । এই সময় আমরা অনেকেই জ্বরে ভুগি বা ভুগছি। শরীরের কতো তাপমাত্রা তা জানা গেলে সেই অনুযায়ী ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া যায়। এর জন্যই প্রয়োজন থার্মোমিটার। এখনকার মার্কেটে অনেকরকম থার্মোমিটার পাওয়া যায়, যেমন- ডিজিটাল থার্মোমিটার, লেজার থার্মোমিটার,Tympanic থার্মোমিটার ইত্যাদি। সবরকম থার্মোমিটারই তাপমাত্রা মাপার কাজ করলেও এর সঠিক ভাবে ব্যবহার অনেকেই জানেননা। কীভাবে ব্যবহার করবেন এইসকল থার্মোমিটার? ডক্টররা কোন কোন থার্মোমিটার ব্যাবহার করতে বলছেন? জেনে নিন- 

Digit.in Survey
✅ Thank you for completing the survey!

শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা- 

একজন সুস্থ মানুষের শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি F অথবা 37 ডিগ্রি C। তবে 1ডিগ্রি F থেকে 2ডিগ্রি F পর্যন্ত তাপমাত্রা সবসময়েই ওঠানামা করে। বিভিন্ন রিপোর্টে থেকে জানা যায়, সকালের দিকে শরীরে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে এবং যত দিন বাড়তে থাকে তাপমাত্রা ততই বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যার সময় তাপমাত্রা সবথেকে বৃদ্ধি পায়।

কীভাবে বুঝবেন জ্বর হয়েছে? 

থার্মোমিটারে যদি শরীরের তাপমাত্রা 100.4ডিগ্রিF এর উপরে উঠে যায় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত এবং তাপমাত্রা 102ডিগ্রি F এর উপরে উঠে যাওয়ার অর্থ সেই ব্যক্তির জ্বর খুবই বেশি এবং তাঁর চিকিৎসার জন্য ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

থার্মোমিটারের প্রকারভেদ-

ডিজিটাল থার্মোমিটার-

বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই এই ধরনের থার্মোমিটার দেখতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই থার্মোমিটারে থাকে একটি ছোট্ট ডিসপ্লে ,যাতে শরীরের তাপমাত্রা কতো? তা দেখা যায়। প্রতিটি ওষুধের দোকানেই এই ধরনের থার্মোমিটার পাওয়া যায়।

Tympanic থার্মোমিটার-

Tympanic থার্মোমিটারটি শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে কানের ভিতর থেকে তাপমাত্রা নেয়। থার্মোমিটারটির সাথে একটি ছোট গাইড পেপার থাকে, সেখানে বিস্তারিত জানানো থাকে কীভাবে Tympanic থার্মোমিটারটি ব্যবহার করতে হবে। সেই অনুযায়ী থার্মোমিটারটি ব্যবহার করা উচিত। তবে যে সকল শিশুর বয়স 3 মাস বা তারও কম তাদের ক্ষেত্রে এই থার্মোমিটার ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ সেক্ষেত্রে তাদের কানে ব্যথা হতে পারে। সাবধানে ব্যবহার না করলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরও কানে লেগে যেতে পারে। 

ব্যবহারের পদ্ধতি-

মুখে ঢুকিয়ে- ডিজিটাল থার্মোমিটারটিকে জ্বিভের তলায় কয়েক মিনিট ঢুকিয়ে রাখতে হয়। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

বগলের মধ্যে- বগলের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেও তাপমাত্রা মাপা যায়। এরজন্য ওই থার্মোমিটারটি কয়েক মিনিট বগলের ভিতর ঢুকিয়ে রাখতে হবে। এরপর ডিসপ্লেতে ফুটে উঠবে শরীরেরে তাপমাত্রা। সাধারণত মুখ থেকে যাতে ভাইরাস না ছড়্রায় তাই এই পদ্ধতি ইউজ করা হয়।

বর্তমানে পারদ দেওয়া থার্মোমিটা্রের ব্যবহারযোগ্যতা-

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে থার্মোমিটারগুলিতে পারদ ব্যবহার করা হয় সেই থার্মোমিটারগুলি অনেকসময় সঠিক তাপমাত্রা দেখায় না। তাই বর্তমানে পারদ থার্মোমিটারের বদলে ডিজিট্যাল থার্মোমিটার ব্যবহার করাই উচিত।

Digit Bangla
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo