Nokia 8110 4G vs JioPhone: স্মৃতি vs বর্তমান

Nokia 8110 4G vs JioPhone: স্মৃতি vs বর্তমান
HIGHLIGHTS

বিশ্ব কেন Nokia 8110 'Banana' ফোনের জন্য অপেক্ষায় আছে, ভারতীয়দের কোন অনুমান? তবে আমাদের জিওফোন কে ধন্যবাদ জানানো উচিৎ

নোকিয়া যেন তাদের পুরনো ফিচার ফোনের স্মৃতি বার বার ফিরিয়ে নিয়ে আসা ঠিক করেছে। গত বছর তারা নোকিয়া 3310 নিয়ে এসেছিল আর এর 4G ভেরিয়েন্টটিও একই রকমের ছিল। রবিবার HMD গ্লোবাল ‘Banana' ফোন ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এটি ম্যাটড়িক্স মুভিতে দেখা গেছে। আর এই ফোনটি গত বছরের Nokia 3310’র থেকে অনেক বেশি স্মার্ট। ফ্লিপকার্টে শুরু হল অ্যাপেল ডেজ

Nokia 8110 শুধু মাত্র একটি ফিচারফোন নয়। এটি কলিং এর জন্য 4G VoLTE সাপোর্ট করে আর এটি এর নিজস্ব অ্যাপ স্টোর যুক্ত। এতে গুগল অ্যাসিস্টেন্স, ফেসবুক, গুগল ম্যাপ। টুইটার এবঙ্গা র অনেক কিছু আছে। আর এত্রি ইমেল যা গুগল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত তাও কাজ করে আর এতে স্নেকের নতুন ভার্শানও দেওয়া হয়েছে ।

যখন সারা বিশ্বের মানুষ নতুন আর উন্নত ফিচার ফোনের কথা বলছে তখন ভারতীয়দের জন্য এটি নতুন ন্য। আর এর কারন জিওফোন, কারন জিওফোনও এই একই ফিচারের সঙ্গে এসেছে। আর এটি গুগ্ল অ্যাসিস্টেন্সের সাপোর্টও দেয়।
ভারতে যখন Nokia 8110 4G ফোনটি লঞ্চ হবে তখন জিওফোন কিছু প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। লেজেন্ড নোকিয়া ফোন আর জনপ্রিয় জিওফোনের দামের ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য থাকবে। জিও ফোন বিনামূল্যে এসছে আর সেখানে Nokia 8110 4G ফোনটি এর আইকনিক ডিজাইন আর নোকিয়ার জন্য বিনামূল্যে পাওয়া যাবেনা।

দাম আর স্মৃতি ছাড়া এই দুটি ফোনের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে? আসুন একবার খুঁজে দেখার চেষ্টা করা যাক।

হার্ডওয়্যার

Nokia 8110 4G ফোনটি 1.1Ghz ডুয়াল কোর কোয়াল্কম 205 মোবাইল প্রসেসার 512MB র‍্যাম আর 4GB ইন্টারনাল স্টোরেজ যুক্ত। এখানে একটি মাইক্রো এসডি কার্ডের স্লটও আছে মেমারি বাড়ানোর জন্য। আর এই ফোনটির ব্যাকে একটি 2- মেগাপিক্সাল ক্যামেরা আর 1,500mAh এর ব্যাটারি আছে। HMD গ্লোবাল দাবি করেছে যে এই ব্যানানা ফোনটি 25 ঘন্টা অব্দি স্ট্যান্ডবাই টাইম দেয় আর এটি 4G VoLTE কানেকশানের সঙ্গে 9.32 ঘন্টার টকটাইম দেয়।

রিলায়েন্স জিওর জিওফোন কোয়াল্কম 205 মোবাইল প্রসেসার 512MB র‍্যাম আর 4GB ইন্টারনাল স্টোরেজ যুক্ত আর এই ফোনটিও স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট করে। এই ফোনটির ব্যাকে 2-মেগাপিক্সালের ক্যামেরা আর ফ্রন্টে 0.3-মেগাপিক্সালের ক্যামেরা আছে যা নোকিয়ার ব্যানানা ফোনে নেই। এই জিও ফোনের ব্যাটারিও বড় এটি 2,000mAh এর ব্যাটারি যুক্ত, যা 48 ঘন্টা অব্দি ব্যাটারি লাইফ দেয়। দুটি ফোনের কোনটিই এক সপ্তাহের ব্যাটারি লাইফ দেয় এর এর কারন সহজ যে এর ভেতরে তেমন কোন হ্যাপেনিং জিনিস নেই।

ফিচার্স

হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে দুটি ফোনেই কম বেশি একই রকমের হার্ডওয়্যার দেওয়া হয়েছে। Nokia 8110 4G আর জিওফোন দুটি ফোনই KaiOS যুক্ত যা Firefox OS এর একটি অংশ। ব্যানানাফোন অ্যাপ স্টোর যুক্ত এতে ফেসবুক, টুইটার, গুগল ম্যাপ, গুগল অ্যাসিস্টেন্স এবং স্নেকের উন্নত ভার্শেন যুক্ত। নোকিয়া 8110 4G এই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই থার্ডপার্টি অ্যাপ সাপোর্ট করছে। আর এর মানে এই যে হোয়াটসঅ্যাপ এই ফোনে পাওয়া যাবে, HMD বলেছে যে এই ফোনে আরও বেশি অ্যাপ দেওয়া হবে।

জিওফোনে কিছু অ্যাপ পরীক্ষা মূলক ভাবে দেওয়া হয়েছে। এর স্মার্ট ফিচার JioTV, JioMusic, JioExpress, JioCinema, JioMessaging আর Jio Video সাপোর্ট করে। এটি পড়ে গুগল অ্যাসিস্টেন্স আর ফেবসুক সাপোর্ট ক্রাও শুরু করেছে।

জিওফোনের একমাত্র অ্যাডভান্টেজ হল এই যে এটি দিয়ে জিওমানি ব্যবহার করা যায়। সেখানে নোকিয়া 8110 এখন ও কোন পেমেন্ট অ্যাপ সাপোর্ট করে না। তবে নোকিয়া 8110 হটস্পটের মাধ্যমে ওয়াই ফাই সাপোর্ট ফিচার্সের জন্য অনেক এগিয়ে গেছে। আর জিওর দিকে জিও টিভি দেখার অনুমতি দেয় কেবেলের মাধ্যমে।

ডিজাইন

নোকিয়া 8110 এর আইকনিক ডিজাইনের জন্য অনেকটাই এগিয়ে আছে। এটি ব্যানানা ফোন নামে পরিচিত, নোকিয়া 8110 পেছন দিক থেকে কার্ভড আর এই ফোনটির কিবোর্ড একটু কভার করা। বছর কুরি আগে এই ফোনটি যখন প্রথম লঞ্চ হয় তখন এটি অনেক এগিয়ে ছিল, আর এটি ম্যাট্রিক্স ফোন হওয়ার আরও বিখ্যাত হয়। আপনি একটি বটন প্রেস করলেই স্লাইডার ওপেন হয়ে যায় আর কলের উত্তর দেওয়া যায়। এটি ঠিক কতটা মজার? এই নতুন ‘ব্যানানা ইয়েলো’ কালার ভেরিয়েন্টটি আর এর ক্লাসিক ব্ল্যাক ভেরিয়েন্টটি আর এরা আমাদের কাছে বিজয়ী।

অন্য দিকে জিও ফোনটি একটি সাধারন ফিচার ফোনের মতন দেখতে। যদি এতে স্মার্ট অ্যাপ না থাকত তবে এটি আরও পাঁচনটা সাধারন ফিচার ফোনের মতনই হত। এই ফোনটিতে একটি পুরনো T9 কিবোর্ড অপশান আছে।

দাম

জিও নেটওয়ার্কের একটি আলাদা অতিরিক্ত সুবিধা আছে। এই জিওফোনটি আসলে ফ্রি অফ ক্সট আর এটি একাবার 1,500 টাকা দিয়ে নিলেও কিছু শর্ত পালন করলে এই দাম ফেরত পাওয়া যায়। আর এর জন্য আপনাকে ফোনটিকে টানা তিন বছর রিচার্জ করাতে হবে, আর তবেই আপনি সম্পূর্ণ রিফান্ড সময়ে সময়ে ফেরত পাবেন।

Nokia 8110 4G ফোনটির ভারতে দাম কত হবে তা এখনও জানা যায়নি। এমনকি এটি কবে থেকে ভারতে পাওয়া যাবে এখনও অব্দি তাও জানা যায়নি। ইউরোপে এই ফোনটি EUR 79 দামে কিনতে পাওয়া যাবে বলে HMD জানিয়েছে সে ক্ষেত্রে এই দাম কনভার্ট করলে ভারতে এর দাম 6,300 টাকা হওয়ার কথা। এটি ভারতের জন্য একটু বেশি দামের হবে কারন এখানে Redmi 5A ‘র মতন এন্ট্রি লেভেল অ্যান্ড্রয়েড ফোন 5,999 টাকায় পাওয়া যায়। আর অ্যান্ড্রয়েড ওরিও (গো এডিশান) ফোনের দামও এই ফিচার ফোনের থেকে কম, যাই হোক Nokia 8110 4G ফোনটির ব্র্যান্ডিং আর ডিজাইন দেখে এই ফোনটি জিও ফোনের দামে লঞ্চ হবে ভাবাটাও অযৌক্তিক। 

Aparajita Maitra
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo