এই আল্ট্রা সোনিক গ্রিপার দিয়ে রোবোট স্পর্শ ছাড়াই জিনিস ধরতে পারবে

Updated on 24-Jan-2020
HIGHLIGHTS

একটি আল্ট্রা সোনিক গ্রিপার নিয়ে কাজ হচ্ছে

জুরিখের Marcel Schuck আর তার টিম এই নিয়ে কাজ করছে

এটি এখনও বাস্তব ব্যাবহারে আসেনি

মনে করুন একদিন সকালে ওষুধের দোকান গেলেন ওষুধ কিনতে আর আপনারা চিরপরিচিত পারার ওষুধের দোকানে গেলেন ওষুধ কিনতে আর সেখানে, আপনাকে ওষুধ এগিয়ে দিচ্ছে কোন রোবোট তবে কেমন হবে?? অবাক হচ্ছেন ভাবছেন যে সকাল সকাল কি সব বলছি?

আসলে এও তো ঠিক যে এই সময়ে এই ধরনের ভাবনা আর শুধু কল্পবিজ্ঞানের পাতায় আটকে নেই। বাস্তবে রোবোটের ব্যাবহার অনেক জায়গায়ই শুরু হয়েছে। তাই এই দিন যদি আপনার সামনে আসে তবে খুব একটা অবাক হয়ে লাভও নেই।

তবে রোবোট যদি হাসপাতাল আর ফোন মেরামতির দোকানে সাহায্য করার জন্য থাকে আর সেখানে খুব হাল্কা স্পর্শের দরকার হয় বা কোন রকমের স্পর্শের দরকার না হয় তবে?? অবাক হচ্ছেন?? আসলে গবেষকরা এমন এক গ্রিপার তৈরি করছেন যা আল্ট্রাসোনিক্স ব্যাবহার করে কোন বস্তুকে থামাতে পারে আর তাঁকে খুব সূক্ষ্ম কাজের উপজুক্ত করে তোলে।

এই প্রযুক্তি একটি ছোট্ট স্পিকারের অ্যারো দিয়ে তৈরি হয়েছে আর যা খুব সাবধানতার সঙ্গে ব্যাবহার করা হয়েছে আর এটি সেভাবেই ফ্রিকোয়েন্সি আর ভলিউম কন্ট্রোল করে। এটি একটি স্থায়ী চাপ তরঙ্গ যা কোন বস্তু কে ধরে রাখতে পারে আর একাধিক দিক থেকে চাপ এলে তা ধরে রাখতে হবে বা সরিয়ে ফেলতে হবে।

একে “অ্যাকোস্টিক লিভিটেশন” বলা হয়, এটি কিন্তু নতুন কিছু নয়, এখানে এটি একটি টেকনিক হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে তবে এখনও এর কোন স্পষ্ট প্রয়োগ হয়নি। তবে ETH জুরিখের Marcel Schuck আর তার টিম দেখায় যে একটি পোর্টেবেলে এই ধরনের ডিভাইস সহজেই প্রক্রিয়াতে একটি জায়গা খুঁজে পেতে পারে যেখানে ছোট জিনিস গুলি হাল্কা ভাবে রাখাদরকার।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে একটি ছোট বিদ্যুতের কিছু যা তেল যুক্ত গিয়ার বা একটি ঘড়ি বা যা মাইক্রো রোবোট বহন করে তা কোন রকমের শারীরিক যোগাযোগ ছাড়াই ধরে রাখতে হবে। কারন সেই সব কিছু ভেতরের ময়লা ভেতরে ইম্প্যাক্ট ফেলতে পারে। আর জন্য রোবোটিকে গ্রিপার গুলি কাজ শেষ হলে তা পরিষ্কার করতে হবে আর তা আলাদা করে রাখতে হবে। এর ফলে অ্যাকোস্টিক ম্যানিপুলেশান, দূষণের সম্ভবনা অনেকটাই কম হবে।

তবে এক্ষেত্রে একটি সমস্যা আছে আর সেই সমস্যা হল হাওয়ার ফ্রিকুয়েন্সি যা বস্তুকে থামানোর জন্য কি আনে তা স্পষ্ট নয়। আর তাই এই জন্য এমন এক সফটোয়্যার করা হয় যা সহজে নতুন অব্জেক্টের ন্সগে কাজ করতে পারে আর না হলে স্পেসিফিক ভাবে প্রোগ্রাম করতে পারে যেমন – রোটেটিং, ফ্লিপিং আর অন্য মুভিং জিনিস ইউজারকে দেয়।

এই সময়ে এর একটি ওয়ার্কিং প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে তবে Schuck এটি কি করে কাজ করে তা দেখার ও দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আর ক্ষেত্রে কাজ করতে চাইছেন। এটি সুইজারল্যান্ডে সেন্সেটিভ আর ছোট দুই ক্ষেত্রেই করা হচ্ছে। ETHZ নিউজে তিনি বলেন যে ,” উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে দাঁত যুক্ত গিয়ারগুলিকে প্রথমে লুব্রিকেন্টের সঙ্গে দেওয়া আর তার পরে এই লুব্রিকেন্ট স্তরটির থিকনেস দেখা হবে। এর বেশি স্পর্শও লুব্রিকেন্টের পাতরা ফিল্মকে ক্ষতি করতে পারে।

কি করে একজন গার্ড এই রোবোটিক হাত ব্যাবহার করবে? মাইক্রোস্কোপিক রোবোট গুলির ডিজাইনার, বা বায়োকেমিস্ট কি করে তা ব্যাবহার করতে পারবে? এখনই এটি ঠিক করে বোঝা যাচ্ছে না আর তাই এর ব্যাবহারিক প্রোয়গও ঠিক কেমন হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। এটি নিয়ে আরও গবেষনা প্রয়োজন আর সামনের বছরে এটি আসবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

নোটঃ ওপরের ছবিটি একটি কাল্পনিক ছবি।

Disclaimer: Digit, like all other media houses, gives you links to online stores which contain embedded affiliate information, which allows us to get a tiny percentage of your purchase back from the online store. We urge all our readers to use our Buy button links to make their purchases as a way of supporting our work. If you are a user who already does this, thank you for supporting and keeping unbiased technology journalism alive in India.
Connect On :