ই-পাসপোর্ট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ সহ আসে যা আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ
2025 সালের মাঝামাঝি সময় অবধি দেশের সমস্ত পাসপোর্ট পরিষেবা সেন্টারে এই সুবিধা পাওয়া যাবে
Indian e passport Launched Key features benefits How to Apply online
ভারত সরকার e-Passport পরিষেবা শুরু করে দিয়েছে। এটি একটি নতুন ধরণের পাসপোর্ট যা সাধারণ পাসপোর্টের পর মোত দেখতে। তবে এতে একটি বিশেষ চিপ দেওয়া যা আপনার সাধারণ পাসপোর্টকে বেশি স্মার্ট এবং সুরক্ষিত করে তোলে। চিপে পাসপোর্ট হোল্ডারের ছবি, তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, তার সিগনেচার এবং অন্য পর্সনাল ডিটেল ডিজিটাল ফর্মেটে দেওয়া এবং এটি সুরক্ষিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক নতুন পাসপোর্টে আর কী রয়েছে বিশেষ।
e-Passport এ কী বিশেষ রয়েছে
যেমনটি নাম থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ সহ আসে যা আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ। গ্রাহকদের সম্পূর্ণ বায়োমেট্রিক তথ্য পাওয়া যাবে এতে। তবে এই পরিষেবা দেশের কিছু সহরেই শুরু হয়েছে, যা হায়দরাবাদ এবং অমৃতসর-সহ ১২টি শহরের পাসপোর্ট অফিসে পাওয়া যাবে।
সরকারের নতুন ই-পাসপোর্টের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আগের তুলনায় দ্রুত এবং সহজ হয়ে উঠবে। এতে থাকা চিপটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তথ্য পড়ে নেবে এবং দ্রুত প্রকাশ করবে। এর ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এই নতুন পাসপোর্টে যাত্রীদের ডেটা পুরো সুরক্ষিত থাকবে।
দেশের কোন কোন শহরে চালু হয়েছে e-Passport
অনেক শহরে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা শুরু হয়েছে। যেমন- নাগপুর, ভুবনেশ্বর, জম্মু, গোয়া এবং সিমলায় ই-পাসপোর্ট সুবিধা পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, রায়পুর, জয়পুর, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, সুরাট, রাঁচি এবং দিল্লিতে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, 2025 সালের মাঝামাঝি সময় অবধি দেশের সমস্ত পাসপোর্ট পরিষেবা সেন্টারে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে, তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে ই-পাসপোর্ট জারি করা হয়ে গেছে।
ই-পাসপোর্টের আবেদন কীভাবে করবেন?
নতুন ই-পাসপোর্ট এর আবেদন একইভাবে করতে হবে যেমন সাধারণ পাসপোর্টের করা হয়। এখানে আমরা সহজ পদ্ধতিতে নতুন পাসপোর্ট আবেদন করা যাবে।
সবার প্রথম passportindia.gov.in ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন করুন।
রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ট্যাবে ক্লিক করুন এবং এখানে ইমেল আইডি, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য ভরতে হবে।
এখানে আপনার লগইন ক্রেডিনশল পাওয়া যাবে।
লগ ইন করার পরে, Fresh Passport বা Re-issue Passport বিকল্প বেছে নিন।
সেলেকশনের পর আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। ফর্মটি ডাউনলোড করুন এবং এতে জিজ্ঞাসা করা সমস্ত বিবরণ পূরণ করুন।
এখানে আপনার পরিচয়পত্র, জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র, ঠিকানার প্রমাণপত্রের মতো প্রয়োজনীয় নথি অ্যাটাচ করুন এবং ফর্মটি স্ক্যান করে জমা দিন।
পাসপোর্ট ফিস আপনি অনলাইনে জমা করতে পারেন এবং একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট বুক করুন।
এরপর, নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট পরিষেবা কেন্দ্রে যান এবং সমস্ত নথি যাচাই করুন।
যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে, আপনার ই-পাসপোর্ট আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
Joyeeta Bhattacharya fell in love with technology at an early age, believing that technology was the secret to unlock India's limitless potential. She is currently Assistant Editor - Bangla at Digit.