পৃথিবীর জল ভালুক এবার চাঁদের মাটিতে! বিজ্ঞানীদের এই অভিযান কি সফল হবে!

Updated on 09-Aug-2019
HIGHLIGHTS

ইজারেয়েলের মহাকাশ জানে করে জল ভালুকরা পৌঁছে গেছে চাঁদে

এদের আসল নাম টারডিগ্রেড

এদের জান খুবই কড়া

মানুষের আকর্ষণের বা বলা ভাল কৌতুহলের জায়গায় প্রথমের দিকেই থাকবে মহাকাশা আর সবঙ্গে অবশ্যই পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের কথা। এর মধ্যেই ভারতের চন্দ্রযান দুই সফল ভাবে মহাকাশে পৌঁছে গেছে। তবে শুধু যে ভারত তা না বিশ্বের সব দেশের মানুষ বা বিজ্ঞানীদেরই অপরিসীম আগ্রহ চাঁদ নিয়। এখন অবশ্য এসবের সীমা ছারিয়ে মানুষ এবার পৃথিবীর প্রান আর জ্ঞানের সম্ভারও মহাবিশ্বে পৌঁছে দিতে চায়।

আর এই উদ্দেশ্যেই ইজরায়েল একটি মহাকাশা জান চাঁদে পাঠিয়েছে। আর সেই জান চাঁদের মাটিতে ভেঙ্গে চুরে হলেও ল্যান্ড করতে পেরেছে। আর জানা গেছে সেই জানে করে পাঠানো পৃথিবীর ‘জলভালুক’রাও ঠিক ভাবেই চাঁদে পৌঁছে গেছে। আর বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে আট পায়ের এই প্রানীদের জন্য যদি চাঁদের মাটি খুব বেশি অসহ্য না হয় তবে তারা ঠিকিই বেঁচে থাকবে। কারন, এর আগের বিভিন্ন পরীক্ষা অনুসারে এই প্রাণী গুলির প্রান খুব কড়া। তাপমাত্রা বা চাপের পার্থক্য হলেও সেই সমস্যা তাদের কাছে কোন বড় ব্যাপার নয়।

এক মিলিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের এই প্রানী গুলিকে ‘ ওয়াটার বেয়ার’ বলা হলেও এদের অফিসিয়াল নাম ‘টারডিগ্রেড’। ইজরায়েলের জান ‘বেরোশিট’ এদের চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে। যদিও কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য জানটি ভেঙ্গে পরে। আর এই জানের এক স্পেশাল চেম্বারে এই প্রানীরা ছিল আর সঙ্গে ছিল ‘লুনার লাইব্রেরি’। যা দেখতে অনেকটা আমাদের ডিভিডির মতন। সেখানে আছে মানুষের ইতিহাস নিয়ে 3 কোটি পাতার বই। যা মাইক্রোস্কোপের নিচে পড়া যাবে। আর এর সঙ্গে সেখানে কৃত্রিম রজনের একটি সেলও ছিল, যাতে শুকিয়ে ঘুমপারিয়ে টারডিগ্রেডদের পাঠানো হ্য। আর জল বাতাস পেলেই জেগে উঠবে তারা।

‘আর্ক মিশন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই ভাবনার পেছনে। তাদের উদ্দেশ্য এই যে মানব জ্ঞানের ভান্ডার আর জিব বৈচিত্রকে সৌরজগতে পৌঁছে দেওয়া। আর এই প্রাণী গুলির জীবন বিষয়ে বলা হয়েছে যে এদের বেঁচে থাকা সম্ভব কারন 150 ডিগ্রি থেকে মাইনাস 272 ডিগ্রি সেলসিয়ার পর্যন্ত তাপমাত্রায় এই প্রাণী বেঁচে থাকতে অয়ারে। আবার মহকাশের চাপহীন জায়গা বা পৃথিবীর গভীরতম সমুদ্র খাত ‘মারিয়ান ট্রেঞ্চ’ য়েও। বহুকাল শুকনো জায়গায় রাখা যায় এদের আর তাই আমেরিকার বেকার বিশ্ববিদ্যাল্যের টারডিগ্রেড স্পেশালিস্ট উলিয়াম মিলারের মতানুসারে চান্দের প্রায় চাপ হীন অবস্থাও সামলে উঠবে এরা।

ভারতের চন্দ্রযান 1 চাঁদে জলের আভাস দিয়েছিল আর একদিন হয়ত সেই জলের স্পর্শে জেগে উঠবে ‘ওয়াটারবেয়ার’হয়ত বংশ বৃদ্ধিও হতে পারে। তবে তাদের আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার সম্ভবনা নেই বলেই জানা গেছে।

এখন দেখার কবে জাগে এরা আর এভাবেই কি তবে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের বাইরে পৃথিবীর প্রান সঞ্চার হবে? তৈরি হবে নতুন ইতিহাসের? নাকি ব্যার্থ হবে বিজ্ঞানীদের এই প্রয়াস? সে প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের গর্ভেই।

Disclaimer: Digit, like all other media houses, gives you links to online stores which contain embedded affiliate information, which allows us to get a tiny percentage of your purchase back from the online store. We urge all our readers to use our Buy button links to make their purchases as a way of supporting our work. If you are a user who already does this, thank you for supporting and keeping unbiased technology journalism alive in India.
Connect On :