মানুষ একা নয়, এবার পৃথিবীও মহাকাশ থেকে সেলফি তুলল, আর সেই 4K সেলফি ভিডিওতে ধরা পড়ল তার দুর্দমনীয় সৌন্দর্য

Updated on 04-Jul-2022
HIGHLIGHTS

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর সেলফি!

মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম 4K selfie video সামনে এল

প্রকাশ্যে আসতেই ভিডিওটি ভাইরাল হল

যে জায়গায় যাওয়া হয়নি অথচ তার দুর্দান্ত বর্ণনা শুনেছি সেই জায়গার প্রতি এক অন্যরকম টান থাকে। গল্প শুনেই তার ব্যাপারে মানুষ অনেক কল্পনা এঁকে নেয় মনের মধ্যে। আর তারপর যখন সেও সেই জায়গায় পৌঁছয় তখন তার যে অনুভূতি হয় সেটা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। বর্তমানে এমনই কিছু ঘটল। মহাকাশচারীরা বহুবার বলেছেন মহাকাশে গেলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। যেটা চোখে দেখে তাঁরা সেটা বর্ণনাতীত। কিন্তু সেসব আমরা বইতে, ইন্টারভিউতে পড়েছি। বর্ণনা শুনলেও সম্পূর্ণ বিবরণ কেউ দিতে পারেনি। কিন্তু সদ্য ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও আপনাকে সেই অনুভূতি দেবে। আমাদের গ্রহের বাইরে থেকে তাকে কেমন কাজ দেখতে সেই অনুভূতি এই ভিডিও আপনাকে দেবে।

Nano avionics , মহাকাশ সংক্রান্ত প্রযুক্তি  কোম্পানিটি একটি অফ দ্যা শেলফ কনজ্যুমার ক্যমেরার দিয়ে একটা ভিডিও তুলেছে পৃথিবীর। আর সেই  ক্যাপচার করা ফুটেজটি প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়। ক্যামেরাটিকে একটি সেলফি স্টিকে লাগিয়ে তাকে পৃথিবীর সব থেকে ভাল যে ভান্টেজ পয়েন্ট আছে সেখান থেকে তুলে ধরা হয়েছে।

Go Pro hero 7 দিয়ে তোলা হয়েছে 4K রেজোলিউশন এর সম্পূর্ণ স্যাটেলাইট ছবিটি। 12 মেগাপিক্সেলের 4K ভিডিওতে গোটা পৃথিবীর এক দারুন ছবি ফুটে উঠেছে।

কোথায় রাখা হয়েছিল সেলফি স্টিকটিকে?

Go Pro hero 7 কে যে সেলফি স্টিকে বাঁধা হয়েছিল সেটাকে কোরাল সাগর এবং গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এর 550 কিলোমিটার উপরে অবস্থান করা ন্যানো অ্যাভিয়নিক্স কোম্পানির MP 42 স্যাটেলাইটে  লাগানো হয়েছিল। এটি হচ্ছে মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান একমাত্র জীবন্ত কাঠামো। ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সময় স্যাটেলাইটটি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর পূর্ব দিয়ে যাচ্ছিল। যখন ভিডিওটি তোলা হচ্ছিল তখন এই কৃত্রিম উপগ্রহটি চাঁদের থেকে 384000 কিলোমিটার দূরে ছিল।
ন্যানো অ্যাভিয়নিক্সের সহ প্রতিষ্ঠাতা  ভিতেনিস যে বুজাস বলেছেন ব্যাকগ্রাউন্ডে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের সঙ্গে ছবিটি আংশিক প্রতীকী ভাবে তোলা হয়েছে। এই কোম্পানিটি এই ছবির মাধ্যমে এক সঙ্গে দুটো জিনিস তুলে ধরতে চেয়েছিল। প্রথমত পৃথিবীর দুর্বলতা, দ্বিতীয়ত, স্যাটেলাইট ইমেজের উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা।

তবে এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় ছবি তুলতে কেন একটি কনজ্যুমার ক্যামেরা ব্যবহার করা হল? ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যামেরা কেন ব্যবহার করা হল না? এর একটাই কারণ সাধারণ মানের যে স্পেস গ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যামেরা গুলো আছে সেগুলোর রেজোলিউশন ভাল নয়। আর এই খরচ সাপেক্ষ ডেভেলপমেন্টের জন্য যথেষ্ট সময়ও লাগত। তবুও সেগুলো পৃথিবীর নিমজ্জিত দৃশ্যের ছবি তুলে পাঠাতে পারে না।

ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকট্রনিক্সের জন্য নানান আনুসঙ্গিক জিনিস প্রয়োজন যেমন কাস্টম হাউজিং, কাস্টম সেলফি স্টিক, ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আলাদা ইলেকট্রনিক্স, এবং একই সঙ্গে স্যাটেলাইট সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখার জন্য আলাদা সফটওয়্যার প্রয়োজন। এই ছবিগুলোর মাধ্যমে আরও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে আকৃষ্ট করা যায় বলেই মনে করেন ন্যানো অ্যাভিয়নিক্সের সহ প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চান মানুষ এগুলো মন দিয়ে দেখে, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত শিক্ষা অর্জন করুক। তাঁর সংস্থার এটাই লক্ষ্য।

Disclaimer: Digit, like all other media houses, gives you links to online stores which contain embedded affiliate information, which allows us to get a tiny percentage of your purchase back from the online store. We urge all our readers to use our Buy button links to make their purchases as a way of supporting our work. If you are a user who already does this, thank you for supporting and keeping unbiased technology journalism alive in India.
Connect On :