আনন্দবাজার অনুসারে তাঁর তিন ছেলে লুসি, রবার্ট আর টিমের তরফে জানানো হয়েছে যে, ““বাবার মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হওয়ার পাশাপাশি তিনি এক জন অসাধারণ মানুষও ছিলেন।”
১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, পড়াশুনা অক্সফোর্ড আর কেম্ব্রিজে। ১৯৬৩ সালে ধরা পরে তিনি এক বিরল অসুখ মোটোর নিউরোন ডিজিজে আক্রান্ত আর তাঁকে সেই সময় মাত্র দু’বছরের জীবন আছে বলে জানানো হয়। তবু অসুস্থতা তাঁর জ্ঞান পিপাসাকে আটকে রাখতে পারেনি কখনো। এর পরেও থামেনি তাঁর কাজ। "Hawking radiation" য়ে ১৯৭৪ সালে তিনি ব্ল্যাক হোলের তত্ব নিয়ে বলেন।
অস্থুতার কারনে হুইলচেয়ারে আশ্রয় গ্রহন করেন হকিং খুব কম বয়সে হারান নিজের কন্ঠস্বরও। আর তাই ভয়েস সিন্থেসাইসারের মধ্যে আজীবন চালিয়ে যান কথা বলার কাজ। তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যে কসমোলজির বিষয়ে কাজ করেন। বিগ ব্যাঙ্ক থিয়োরিতেও তিনি প্রথম দেখান যে বিগ ব্যাঙ্ক থিয়োরিতে লিক এনার্জির কথা বলেন পরবর্তীতে যা হকিং রেডিয়েশান নামে পরিচিত হয়।
‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’-এর লেখকের আপেক্ষিকতাবাদ, কসমোলজি, কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং ব্ল্যাকহোলের উপর গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।