আপনাদের মধ্য়ে অনেককেই মোবাইল স্লো হওয়ার সমস্য়া নিয়ে ভুগছেন হবে! কিন্তু ফোন স্লো হওয়ার সমস্য়া হচ্ছে কেন সেটা জানতে হবে, আর এই সমস্য়া থেকে কীভাবে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। প্রায় সময় নতুন ফোন কেনার কিছু সময় পরেই সেটি স্লো হতে লাগে। ফোনের স্পিড কমে যায়। এতে আপনার দরকারের সময় ফোন কাজ না করলে খুব বিরক্ত লাগে এবং বেশ মুশকিলে পড়তে হয়। তবে ফোনের স্পিড কে আগের মতো ফিরিয়ে আনা যায় কিছু সহ উপায়।
আমরা এই বিষয় আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানাবো এই খবরে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তির কয়েকটি সহজ উপায়।
আমাদের ফোনে এমন কিছু অ্য়াপ থাকে যা ব্য়বহার খুবই কম হয় এবং যাবতীয় অদরকারী অ্য়াপ মোবাইলে ভরে রাখেন। স্মার্টফোন স্লো হওয়ার একটি বিশেষ কারন হল ফোনে একগাদা অদরকারি জিনিস ভরে রাখা। এই অ্য়াপগুলি ফোনের স্পেস খায় এবং আপনার অজান্তেই এই অ্য়াপ নিজে নিজে আপডেট হতে থাকে। যার ফলে ফোনের স্টোরেজ ফুল হয়ে যায় এবং ফোন স্লো হওয়ার সমস্য়া শুরু হয়ে।
ফোন স্লো হওয়ার সমস্য়ার আরেক কারন হল ফোন আপডেট না থাকা। স্মার্টফোন সব সময় আপডেটেড অপরেটিং সিস্টম (OS) ব্য়বহার করা উচিত। ফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে দেখে নেওয়া যায় ফোনে নতুন কোনো আপডেট আছে কিনা। ফোন আপডেট থাকলে স্লো হওয়ার সমস্য়াটা থাকে না।
আপনার ফোনে কোনো এক সময়ে স্টোরেজ ফুল লেখাটা দেখা দিতে লাগে। অ্য়ান্ড্রয়েড ফোন হক বা যেকোনো ফোনের এই সমস্য়ার সম্মুখিন হই আমরা। তাই ফোনের স্টোরেজ সময়-সময় খালি করতে থাকা উচিত। ফোনের অব্যবহৃত জিনিস মাঝে মাঝে ডিলিট করতে থাকা উচিত। এতে ফোনের হ্য়াং হওয়ার সমস্য়া অনেকটা দুর হয়ে।
সাধারণ ও সস্তার এসডি কার্ড ফোনের স্পিডকে কম করে দেয়। এর বদলে উচিত একটি ভাল কোম্পানির ফাস্ট মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করা। ইন্টারনাল স্টোরেজ থেকে ফোটো ও ভিডিও সরিয়ে ক্লাউড বা গুগল ফোটোজে সেভ রাখা যেতে পারে। এছাড়া হোম স্ক্রিনেও অপ্রয়জনীয় ডিটেল থাকে, যা পরিস্কার করলেও ফোনের স্পিড ফাস্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, চার মাসের মধ্যে ফোন একবার রিসেট করতে থাকা দরকার। অ্যাপের ক্যাশে ক্লিয়ার করলে সেটিংসের স্টোরেজ অপশনে গিয়ে পুরানো ডেটা ডিলিট করা যেতে পারে।