“হ্যাকিং” শব্দটির সাথে এখন আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত। কেননা এই প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে এই শব্দটিও সমান ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীর ছোট্ট একটা ভুলের জন্য তাদের সমস্ত ব্যাক্তিগত ডেটা চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের কবলে। এক ক্লিকেই উধাও হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা। চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হচ্ছেনা। আবার অনেক হ্যাকিং সংস্থা ইউজারদের ব্যাক্তিগত তথ্যকে অন্য কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে বেশ মোটা টাকায়। এই ধরণের অবস্থায় নিরাপদ থাকার সুযোগ খুবই কম। তবে আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ইউজার হন , তবে আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি হ্যাকার থেকে নিজের ডিভাইসকে বাঁচানোর সাতটি উপায়ের সন্ধান। দেখে নিন একনজরে-
বেশিরভাগ নতুন স্মার্টফোনে আগে থেকেই বেশ কিছু অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে। অনেকসময় এই অ্যাপগুলি আমাদের কোনো কাজেই আসে না।অকারণে পড়ে থেকে এই অ্যাপগুলি ফোনের জায়গা নষ্ট করে। তাই এগুলিকে ডিলিট করে দেওয়া বা আন- ইনস্টল করে দেওয়াই উচিত। তবে এই ধরণের বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলি ডিলিট করা যায় না, সেক্ষেত্রে এগুলিকে সেটিংস অপশনে গিয়ে ডিসেবেল করে দেওয়া যেতে পারে।
আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন হারিয়ে গেলে তা খুঁজে বের করার জন্য রয়েছে “Find My Device” অপশন। নতুন ফোন কেনার সঙ্গে সঙ্গে এই সেটিংস অপশনকে এনাবেল করুন। যার ফলে আপনার মোবাইল যদি কোনো কারণে খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে সহজেই ট্র্যাক করা যাবে। মাথায় রাখবেন যে আপনার ডিভাইস যদি অন্য কারোর হাতে পড়ে, তাহলে সেখান থেকে সমস্ত ডেটা চুরি করে নিতে লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট।
যে সমস্ত অ্যাপগুলি বেশি অ্যাড শো করে , সেগুলিতে ম্যালওয়্যার থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই কোনো অ্যাপ কাজে না লাগলে মোবাইলে ফেলে রাখবেন না। ব্যাবহার না করলে আন- ইনস্টল করে ফেলবেন। এছাড়াও কোন কোন অ্যাপ আপনি ডাউনলোড করেছেন সেগুলির দিকেও নজর রাখবেন। এমন করলে স্মার্টফোন আরও বেশি সিকিওর থাকবে।
বেশ কিছু পেইড অ্যাপ রয়েছে যেগুলির ভ্যালিডিটি ফুরিয়ে গেলে, সেগুলি আর কোনো কাজেই লাগে না। এই ধরণের অ্যাপগুলির সাহায্যে ম্যালওয়্যার অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে অনেক বেশি। তাই কোনো অ্যাপের ভ্যালিডিটি পিরিয়ড ফুরিয়ে গেলে সেগুলিকে ডিলিট করে ফেলুন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকার ফলে একটাই পাসওয়ার্ড নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন ধরে সেভ করে রাখেন। এমনটা করলে কিন্তু ফোন হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। গুগল অ্যাকাউন্টে অটোমেটিকভাবে সেভ থাকা পাসওয়ার্ড ইউজ করার বদলে মাঝে মাঝে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। এর ফলে ডিভাইসের নিরাপত্তা বজায় থাকবে।
কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সবসময় গুগল প্লে-স্টোরকেই বেছে নিন। কেননা কোনো অ্যাপকে প্লে-স্টোরে জায়গা পেতে হলে অনেক ভেরিফিকেশন স্টেজ পেরিয়ে আসতে হয়। থার্ড পার্টি সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে অ্যাপগুলি ইনস্টলের সাথে সাথে ফোনে প্রবেশ করতে পারে ম্যালওয়্যার। যা চুরি করে নিতে পারে ইউজারের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা।
কোনো অ্যাপ ইনস্টল হবার পর ওপেন করলে একটি “Terms and Conditons” পপ-আপ ফুটে ওঠে। এই পেজটিকে ভালো করে পড়ে নিন। অ্যাপের কাজের সাথে কোনো মিল না থাকলে ভুলেও অ্যাকসেপ্ট করবেন না। নাহলে আপনার সমস্ত পারসোনাল ডেটা চলে যেতে পারে হ্যাকারদের দখলে।